নিরাপদ সড়কের দাবিতে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের ক্লাসে ফিরে যাওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সেইসঙ্গে এক শিক্ষার্থীর কথার জবাবও দিয়েছেন তিনি।

তিনি বলেন, আমি দেখলাম এক শিক্ষার্থী বলেছে আমি শুধু গাড়িতেই চড়ি, কাজেই আমি বাসে চড়া জানি না। কথাটা ঠিক না। আমাদের জীবনে আমরা যেমন গাড়িতেও চড়েছি, বাসেও চড়েছি, শুধু বাসে কেনো, আমি যা যা চড়েছি তাতো বোধোহয় এই ছাত্ররা চড়ে নাই।

বুধবার শিশু একাডেমিতে বঙ্গবন্ধুর ম্যুরাল উদ্বোধন ও জয়িতা টাওয়ারের ভিত্তি প্রস্তর স্থাপন অনুষ্ঠানে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে এ কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী।

এ সময় নিজ জীবনের অভিজ্ঞতার কথা তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমি রিকশায় চড়েছি, ভ্যানে চড়েছি, মাছের ট্রলারে সাগর পাড়ি দিয়েছি, আমি সাম্পানে সাগর পাড়ি দিয়েছি। আমি মাইলের পর মাইল কাদামাটি ভেঙে হেঁটেছি, আমি ধানের আল বেয়ে হেঁটেছি। আমি বাংলাদেশটাকে চেনার জন্য, বাংলাদেশের মানুষের জন্য কাজ করবার জন্য, বাংলাদেশের এমন কোনো অঞ্চল নাই আমি না ঘুরেছি।

শৈশব ও রাজনৈতিক জীবনের বহুমাত্রিক অভিজ্ঞতা তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাসে তো আমরা যখন স্কুলে পড়তাম, ধানমন্ডিতে যখন বাস শুরু হলো, আমরা বাসে করেই যেতাম। ধানমন্ডি থেকে আজিমপুর স্কুল সবাই আমরা বাসে করেই যেতাম। আমি ৮১ সালে বাংলাদেশে এসে যখন সমগ্র বাংলাদেশ সফর করি তখন আমরা বাস ভাড়া করে নিয়ে যেতাম, মিনি বাসে যেতাম। বাংলাদেশে আমার মনে হয় এমন কোনো কিছু নেই যেখানে আমি চড়ি নাই। সেভাবে চড়ে চড়েই, কাজ করে করেই কিন্তু প্রধানমন্ত্রী হয়ে আজকে বাংলাদেশের উন্নয়ন করতে সক্ষম হচ্ছি। আমি যদি বাংলাদেশকে না চিনতাম তাহলে এত দ্রুত বাংলাদেশ এত উন্নতি করতে পারতো না।

তরুণদের বাংলাদেশের উন্নয়নের সঙ্গে সম্পৃক্ত থাকার আহ্বান জানিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, ১০-১৪ বছর আগের বাংলাদেশ এখনকার বাংলাদেশে অনেক তফাৎ। এখনকার বাংলাদেশে আমাদের ছেলেমেয়েরা যেটা দেখছে সেটা কিন্তু চিরদিন ছিল না। ভবিষ্যতে বাংলাদেশকে উন্নয়নের পথে নিয়ে যেতে নিজেদেরকে প্রস্তুত করতে হবে তাদের।